হিন্দুধর্মে নারী

Authors

  • Namita Sarkar Author

Abstract

সারসংক্ষেপ- একটি শকট যেমন তার দুটো চাকার সাহায্যে চলে তেমনি একটি সভ্যতার অগ্রগতিও মূলতঃ নারী ও পুরুষ উভয়ের উপর নির্ভরশীল। ভগবান প্রজা সৃষ্টির সঙ্গে নারীকেও সৃষ্টি করেছিলেন। ভারতীয় হিন্দু সভ্যতায় ভগবান শিবকে অর্ধনারীশ্বর রূপে কল্পনা করা হয়েছে। হিন্দুরা মনে করতেন যে ভগবান শিব হল অর্ধনারীশ্বর, যিনি পুরুষ এবং নারী দুটি দিককে প্রতিনিধিত্ব করেন। শাস্ত্র মত অনুসারেও ভগবান শিব দুটি অংশের একটি দেহ নিয়ে গঠিত একটি পুরুষ এবং অন্যটি নারী। তাই তাকে 'অর্ধনারীশ্বর' বলা হয়। নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করা হতো এবং তাকে 'শক্তি' দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো। অনেক ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে যে, এই মহাবিশ্বের সবকিছুই অর্ধনারীশ্বর থেকে উৎপন্ন হয় এবং তারা জীবনকাল পূর্ণ করার পরে অর্ধনারীশ্বরে ফিরে যায়। সাংখ্যদর্শনে বলা হয়েছে পুরুষ ও প্রকৃতি এই উভয়ের সমন্বয়ে জগচ্চক্র গঠিত। প্রকৃতির তিনটি গুণ রয়েছে সত্ত্ব (শুদ্ধি বা সংরক্ষণ), রজস্ (সৃষ্টি) এবং তমস্ (অন্ধকার বা ধ্বংস)। এই গুণগুলির মধ্যে ভারসাম্য ভেঙে গেলে সৃষ্টির কাজ শুরু হয়। রজঃ গুণ সৃষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অতএব, পুরুষ ও প্রকৃতি একে অপরের থেকে স্বাধীন থাকতে পারে না। তৈরি করার জন্য তাদের অবশ্যই একসাথে এবং সাদৃশ্যে বিদ্যমান থাকতে হবে। তাই পুরুষ ও প্রকৃতি এই উভয়কে অন্ধ ও খঞ্জ ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কারণ অন্ধ ও খঞ্জ ব্যক্তি জীবনে চলার পথে একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

Author Biography

  • Namita Sarkar

    Assistant Professor, Department of Sanskrit, P. D. Women's College, Jalpaiguri, West Bengal, India

Downloads

Published

2025-01-01

How to Cite

হিন্দুধর্মে নারী. (2025). Siddhanta’s International Journal of Advanced Research in Arts & Humanities, 1-8. https://sijarah.com/index.php/sijarah/article/view/24